আধুনিক বাংলা সাহিত্যে কাজী নজরুল ইসলামের [১১ই জ্যৈষ্ঠ, ১৩০৬ বঙ্গাব্দ (ইংরেজি ২৪শে মে, ১৮৯৯) – ১২ই ভাদ্র, ১৩৮৩ বঙ্গাব্দ (২৯শে আগস্ট, ১৯৭৬)] আবির্ভাব যেমন জ্যৈষ্ঠ্যের ঝড়ের মত আকস্মিক, তাঁর প্রস্থানও তেমনি অপ্রত্যাশিত। রবীন্দ্রনাথের ভাস্বর উপস্থিতির মধ্যেই বাংলা সাহিত্যে নজরুল তাঁর স্বাতন্ত্র্য তৈরি করে নিয়েছিলেন স্বীয় প্রতিভাবলে। কবি, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, গীতিকার, সুরকার, গায়ক, নাট্যকার, রাজনীতি সচেতন প্রগতিশীল, জীবনরসিক মানুষ হিসাবে নজরুলের পরিচয় বিশ্বের কাছে। দেশ ও জাতির চরম দুর্দিনে নজরুলের লেখা প্রাণিত করেছে দেশের যুব সমাজকে, স্বাধীনতাকামী মানুষকে। যেখানেই শোষণ আর বঞ্চনা সেখানেই নজরুলের বিদ্রোহী, প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর শোনা গেছে—‘বিদ্রোহী কবি’ নামেই তাই বাংলা সাহিত্যে তাঁর অবস্থান স্বতন্ত্র। দেশ ও কালের আহ্ববানকে উপেক্ষা করে নয়, দেশ কালের আবিলতায় প্রোথিত থেকেই শাশ্বতের বাণী উচ্চারণ করেছেন নজরুল। বাংলা সাহিত্যের বহু ক্ষেত্রই তাঁর প্রতিভার স্পর্শে উন্নীত হয়েছে বিশ্বমানে। তাঁর লেখার জাদু স্পর্শে মুগ্ধ পশ্চিমবঙ্গ, বাংলাদেশসহ সারা পৃথিবীর বাঙালি। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার তাঁকে জাতীয় কবির মর্যাদা দিয়েছে।
ভাষা-প্রযুক্তি গবেষণা পরিষদ বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমগ্র সাহিত্যকর্মকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে ইউনিকোড ৬.৩ সম্মত উপায়ে এই ওয়েবসাইটে উপস্থিত করছে। এখানে কাজী সাহেবের সমগ্র রচনার পাশাপাশি রচনার কালক্রম ও তথ্যাবলি, তাঁর আঁকা ছবি, তাঁর জীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত ব্যক্তি ও ঘটনাবলি, জীবনপঞ্জি, গান, নজরুলের সুস্থাবস্থায় প্রকাশিত গানের রেকর্ডের তথ্যাবলি, হস্তলিপি, পাণ্ডুলিপি, অজস্র ছবি, ভিডিও, কাজী সাহেবের স্বকণ্ঠে গান ও আবৃত্তি, নজরুল সম্পর্কিত গবেষণা-তথ্য, আকরপঞ্জি, ইত্যাদি বহুবিধ উপকরণ মজুত রয়েছে। এককথায়, এই ওয়েবসাইট কাজী নজরুল ইসলামের উপর সর্বপ্রথম অনুসন্ধানযোগ্য অনলাইন বিশ্বকোষ। বাংলা ভাষী এবং বাংলা ভাষাপ্রেমী সমস্ত মানুষের উদ্দেশ্যে এই রচনাসমগ্রটি উৎসর্গ করা হল।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি এবং বৈদ্যুতিন বিভাগের একটি উদ্যোগ।